দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ইতিমধ্যেই তারা দায়িত্বভার গ্রহণ করে নিজেদের মধ্যে বৈঠক সম্পন্ন করেছে। এবার গঠনতন্ত্র, আচরণবিধি ও তফসিল ঘোষণার বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসন্ন নির্বাচনে সাম্ভাব্য সকল প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ। কুষ্টিয়া আঞ্চলিক উপ-সহকারী শ্রম অধিদপ্তরের নিয়মাবলি অনুযায়ী কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যদের ৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে সমগ্র ভোটারের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তিকে নির্বাচিত করা হবে। অথচ কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের গণতন্ত্র রয়েছে ওয়ার্ড কেন্দ্রীক ভোটের প্রথা। এ জটিলতা নিরসনে এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার। আলোচনা করেন কমিটির সদস্য সচিব, চিনিকলের প্রকৌশলী (পরিবহন) আবু সাঈদ, সদস্য উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) শেখ জাবেদ হাসান ও সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ডিস্টিলারি জহির উদ্দিন। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, জয়নাল আবেদীন নফর, পারর্তিপুর কর্মস্থলে থাকায় সৌমিক হাসান রূপম বৈঠকে থাকতে পারেননি। এছাড়া ছিলেন, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, এসএম কবির, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত মিলন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, খবির উদ্দিন, বাবুল আক্তার, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মহিদুল ইসলাম, সাবেক অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) আবু সাঈদ, রেজানুর রহমান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন সনেট, প্রচার সম্পাদক প্রার্থী রবিউল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান, সদস্য প্রার্থী হারেজুল ইসলাম, সাহেব আলী শিকদার, সাইফুদ্দিন সুমন, ডাবলু, মাইদুদ্দিন, আবু সিদ্দিক, আমিনুল ইসলাম, বাবর আলী, আব্বাস আলী, নুর ইসলাম, আজাদ হোসেন, মজিবর রহমান, ইদ্রিস আলী প্রমুখ। তবে কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা করা হবে তা পরিষ্কার জানা যায়নি।