দর্শনা অফিস: বহু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযুক্ত কেরুজ যশোর বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ দাউদ আলী। নিজেকে রক্ষা করতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ খরচ করছেন বিভিন্ন মহলে। নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারেও মেতেছেন। ৫ আগস্টের আগের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ আলীর বিরুদ্ধে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই জ্বলেছেন তেলে-বেগুনে। এবার দাউদ আলীর অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলো বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে। গত পরশু বুধবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব আনোয়ারুল কবীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দাউদ আলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান ওইদিন গঠন করেছেন তদন্ত কমিটি। ৪ সদস্যের এ কমিটিতে রয়েছেন, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপক (হিসাব) গোলাম জাকারিয়া, উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ডিস্টিলারী জহির উদ্দীন ও সহকারী ব্যবস্থাপক (যন্ত্রকৌশল) নাজমুল হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ সদস্যের এ তদন্ত কমিটির অনুমোদন করেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত যশোর বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ দাউদ আলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তপূর্বক লিখিতভাবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটির সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, কেরুজ চিনিকলকে দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত করণে কাজ করছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাই সঠিক তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কমিটির কেউ কোনোভাবেই প্রভাবিত হবেনা নিশ্চিত করে বলতে পারি। এদিকে অভিযুক্ত দাউদ আলী শুরু করেছেন দৌড়ঝাপ। কারো কারো কাছে বলতেও শোনা গেছে, টাকার জোরে সব ঠিক করে নেয়া হবে। পত্রিকায় লেখালেখিতে কিছুই হবেনা। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নিজের পক্ষে নেয়ার কৌশলও নাকি তার জানা। এখন দেখার অপেক্ষা।