কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৭জন ও উপসর্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এ হাসপাতালে শুক্রবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৩ জন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৯০ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৫৩ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে গোটা জুন মাসজুড়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গেল মাসের ৩০ দিনে কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭২ জনের। যেখানে জেলায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৭ জন। আর এ মাসে করোনায় মারা গেছেন ৯৯ জন। যেখানে জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১৮ জনের। এদিকে রোগীর এ চাপ সামাল দিতে জুনের ২৫ তারিখ থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জুন মাসে জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর হবে এটা আমরা ধারণা করেছিলাম। তবে এত বেশি খারাপ অবস্থা হবে এটি আমাদের ভাবনার বাইরে ছিল। সামাজিক দূরত্ব না মানা ও মাস্ক পরিধান না করায় জেলায় এখন করোনার কমিউনিটি ট্রেনজেকশন দেখা দিয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া এ থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই।’ অন্যদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৮৭ জনে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬১৬ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্বাধিক ৬১ জন, দৌলতপুরে ২৭ জন, কুমারখালীতে ১৩ জন, ভেড়ামারায় ১৬ জন, মিরপুরে ১৩ জন ও খোকসায় সাতজন রয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২ হাজার ৩৫৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে ২০৪ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ১৪৯ জন।