কালীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আল ইসলামের মৃত্যু

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক আল ইসলাম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। পাঁচদিন খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার আনুমানিক দুপুর ১টায় তার মৃত্যু হয়। আল ইসলাম জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ব বারোবাজার ইউনিয়নের বাদুরগাছা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
গত (১৮ অক্টোবর) সোমবার সকাল ৯টায় বাদুরগাছা গ্রামে পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক আল ইসলামকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এরপর স্থানীয়রা ওই হামলার শিকার আহত যুবককে মুমূর্ষু রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেন। গত পাঁচদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী নাজনিন নাহার শিলা (২৬) বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলেও আসামিরা পলাতক থাকার কারণে পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এজহারভুক্ত আসামিরা হলেন ঝিনাইদহ সদর থানার বাধরা গ্রামের সাজ্জাত হোসেনের ছেলে সোহেল (১৮), হবিবর শেখ হবির ছেলে মস্ত (৪০), মস্তর স্ত্রী শান্তা খাতুন (১৮), হবিবর শেখ হবির মেয়ে শিলিফা খাতুন (৩০), হবিবর শেখ হবির স্ত্রী আনু খাতুন (৫৫)। এদের সকলের গ্রাম বাদুরগাছা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সাথে জমাজমিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আহত আল ইসলামের পরিবারের শত্রুতা চলে আসছিলো। আসামিরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। উপরোক্ত আসামিদের বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ আহত আল ইসলামের ঘরের ওপর এসে পড়েছে। বাঁশগুলো কেটে নেয়ার জন্য বার বার বললেও তারা বাঁশ না কেটে জোর করে ঘরের ওপর বাঁশ রেখে দেয়। পরে আল ইসলামের বাড়িতে বসবাস করার সমস্যা হওয়ার কারনে ঘরের উপর আসা ৩টি বাঁশ কেটে দেয়া হয়। এই বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে ২নং আসামী হবিবর শেখ ওরফে হবি’র নেতৃত্বে সকল আসামিরা বে-আইনীভাবে বসতবাড়ীতে ঢুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আল ইসলামের মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে ২নং আসামি হবিবর শেখ ওরফে হবি বাদী শিলার পরিহিত কাপড় টানা হেচড়া করে বিবস্ত্র করে এমনকি শ্লীলতাহানী করে এবং বলে এ বিষয়ে কোনো আইনের আশ্রয় নিলে ভবিষ্যতে সুযোগ মতো খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে কিন্তু তারা সকলেই পলাতক। আহত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শুনেছি।

 

Comments (0)
Add Comment