কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের স্বাক্ষর স্ক্যানের মাধ্যমে জাল করে ছাতিয়ানতলার হুমায়ন আটক হয়েছে। হুমায়ন ছাতিয়ানতলা গ্রামের মো. হাসেমের ছেলে। তিনি কার্পাসডাঙ্গা বাজারের একটি ফটোস্ট্যাট এর দোকানে কর্মচারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হুমায়নকে আটক করে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করে পুলিশ। জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ওয়ালিদ তার মৃত পিতার মৃত্যু সনদ করতে কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে আসে। পরে সে প্রত্যায়নপত্র লেখার জন্য বাজারে জনতা ব্যাংক মার্কেটের নিচ তলায় ঢাকা ডিজিটাল কম্পিউটার ফটোস্ট্যাটের দোকানে যায়। সেখানে কর্মরত মো. হুমায়ন তার প্রত্যায়নপত্রে স্ক্যানের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের স্বাক্ষর জাল করে। পরে প্রত্যায়নপত্র পরিষদে সচিবের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। এবং চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। এরপরে তাকে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোপর্দ করে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ। এ বিষয়ে ইউপি সচিব মহি উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে কোমরপুর গ্রামের একজন জন্মনিবন্ধন করবেন বলে পরিষদে আসেন। জন্মনিবন্ধনে তার বাবার মৃত্যু সনদ লাগবে বলে প্রত্যায়নপত্র বের করতে যায় স্থানীয় একটি ফটোস্ট্যাটের দোকানে। দোকানের একজন চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যায়নপত্রে বসিয়ে দেয়। পরে তিনি আমার কাছে আসলে আমি বিষয়টি ধরে ফেলি। পরে চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশক্রমে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, সই জাল করার বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানাই। তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। মামলার বিষয়টি সচিব জানেন। এ বিষয়ে দোকানের মালিক মতিউর রহমান জানান, আমার অনুপস্থিতে সে এই কান্ডটি করেছে। দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের সই জাল করার কারণে ইউপি সচিব বাদি হয়ে মামলা করেছেন।