কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গার সার্বিক নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কলোনিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মেসার্স হারুন স্টোরে অননুমোদিত, ভেজাল ও মেয়াদসহ মূল্য বিহীন শিশু খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭, ৪১ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে কলোনিপাড়ায় মেসার্স জিপি ডেক্সট্রোজ গ্লুকোজ কারখানায় অভিযানে দেখা যায় বস্তায় মেয়াদ নেই এবং যে গ্লুকোজ ২০২১ সালের জুন মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এগুলো তারা প্যাকেটজাত করে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ দিচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভোক্তা অধিকার আইনের পরিপন্থি। এছাড়া কিছু মোমবাতি তৈরি করে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের নামে বাজারজাত করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩৭ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অপরাধ না করার জন্য সতর্ক করা হয়। অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানার ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গায় নবনিযুক্ত নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. মিলন মিয়া। নিরাপত্তায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি। অপরদিকে কার্পাসডাঙ্গা কলোনিপাড়ায় অবৈধভাবে তৈরি খাবার গ্লুকোজ তৈরি কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৪টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা কলোনিপাড়ায় জিপি কারখানায় অবৈধভাবে খাবার গ্লকোজ তৈরি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ এর আইনের আওতায় পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা। অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ। প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি ও সরবরাহ না করা এবং পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করায় এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে তৈরি ডেক্সাট্রোজ গ্লুকোজ আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিকেল ৪টার দিকে কার্পাসডাঙ্গায় মুখে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল, পেশকার জিহন আলী, আইটিসি টেকনিশিয়ান খায়রুল কবির দিনারসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ ।
আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক দুটি অভিযানে মুদি ও কসমেটিকস দোকানে জরিমানা করেছেন। বাজারের রিমি ভ্যারাইটিজ স্টোরে মাস্ক নেই তো সেবা নেই সাইনবোর্ড টাঙানো না থাকা প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুুজ্জামান নান্টুকে ৩ হাজার টাকা, মিজান স্টোরের মালিক মিজানুর রহমানকে ১ হাজার টাকা, একই বাজারে মিন্টু কসমেটিকসের মালিক মিন্টু হোসেনকে ১ হাজার টাকা এবং ভোরের আলো কসমেটিকস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ইকরামুক হক বাদশাকে ৫ হাজার টাকা। ৪টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম ও পুলিশের একটি দল।