কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকী স্বল্পপরিসরে পালন করা হয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা মিশন পল্লির কাজী নজরুল ইসলামের আটচালা ঘর স্মৃতি ফলকে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এমএ গফুর, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস, জেলা রোভারের পক্ষ থেকে আব্দুল আল মামুন, সাংবাদিক আজিম উদ্দিন, কবি আকলিমা, শিল্পী নাশাত শারমিন সোনিয়া, শিল্পী শ্রী রঘুনাথ পাল, আরিফুল ইসলাম, মিঠু ম-ল, প্রকাশ ঘরামী প্রমুখ। এরপর নজরুল স্মৃতি সংসদ কার্যলয়ে স্বল্পপরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলোচনা ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আলোচনায় নজরুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্য ছিলো তার নিত্যসঙ্গী। তার ডাকনাম ছিলো দুখু মিয়া। কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ। তিনি কবিতা, গান ও উপন্যাসে সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি আরও বলেন, কবি নজরুল ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। যেখানেই অন্যায়-অবিচার, সেখানেই কবির কলম হয়ে উঠেছে খাপছাড়া তলোয়ার। নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো, তেমনই তার বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে। আটচালা ঘরে নজরুল চর্চা কেন্দ্র এবং নজরুল চত্রের কাজ অতি সত্তর যাতে সম্পন্ন হয় তার সুব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।