দর্শনা অফিস: দর্শনায় ফেনসিডিল সেবন করতে গিয়ে আটক পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহমদকে ক্লোজড করা হয়েছে। একইসাথে আটক হওয়া সোয়েব ও সাজন নামের দুই যুবককে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী লিমনের গতকাল পর্যন্ত হদিস মেলেনি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ক্লোজড হওয়া আলমডাঙ্গার হাপানিয়া পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল ফিরোজ আহমদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানাগেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতপরশু বুধবার বিকালে দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর মসজিদপাড়ার নজরুল ইসলাম ওরফে নজু জোয়ার্দারের ছেলে লিমনের বাড়িতে ফেনসিডিল সেবন করতে যান পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ, চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়ার বকুলের ছেলে সোয়েব (৩০) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার রইতনপুর গ্রামের মকলেছের ছেলে সাজন আলী (২৮)। এ সময় লিমন ফেনসিডিলের টাকা চাওয়ায় ওই তিনজন নিজেদের চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেয়। সাথে সাথে লিমনের হাতে পড়িয়ে দেয়া হয় হাতকড়া। অবস্থা বেগতিক বুঝে কৌশলে লিমন পালিয়ে যায়।
এদিকে জনরোষে পড়তে হয় কথিত গোয়েন্দা পুলিশের কথিত ওই তিনজনকে। এক পর্যায়ে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ও সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত ৯টার দিকে খবর পেয়ে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান, সেকেন্ড অফিসার এসআই আহমদ বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে সোয়েব ও সাজন আলীকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আমান উল্লাহ আমান জানান, পুলিশ সদস্য ফিরোজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই তাকে ওই ক্যাম্প থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এদিকে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া লিমনের ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান।
চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. মুন্না বিশ্বাস জানান, কনস্টেবল ফিরোজের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।