দর্শনা অফিস: দর্শনায় অভিনব কৌশলে নোমান হোসেন (১৬) নামের এক মাদরাসা ছাত্রের কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে যাত্রীবেশে দু’জন ছিনতাইকারী। উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে বাবা-ছেলে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের আব্দুল খালেক রাইস মিলের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। কিশোর নোমান হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের মুহাম্মাদ আব্দুল আলিমের ছেলে। মাদরাসা থেকে রমজানের ছুটিতে বাড়িতে এসে রোজাদার বৃদ্ধ বাবাকে ভ্যান চালিয়ে সহযোগিতা করছিলো। সেই সুবাদে গতকালও সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয় নোমান। ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনার বিবরণ দিয়ে নোমান জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগারীতে ভাড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকাকালীন হঠাৎ দুইজন ব্যক্তি দর্শনা থেকে খেজুর আনবে বলে ৩০০ টাকা ভাড়া চুক্তি করে। তবে দু’জনের যাওয়ার কথা থাকলেও একজন যাননি, শুধুমাত্র একজনই ভ্যানে চড়েন। পরবর্তীতে দর্শনা হল্ট স্টেশন অতিক্রম হওয়ার পর আরেকজন ভ্যানে ওঠে। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের আব্দুল খালেক রাইস মিলের গলিতে নিয়ে ভ্যান রেখে খেজুর আনার জন্য ছিনতাইকারীদের একজন নোমানকে সাথে নিয়ে যায়। ভ্যান রেখে খেজুর আনতে গেলে হঠাৎ সেই অভিযুক্ত ছিনতাইকারী বলেন যাও ভ্যানটা নিয়ে আসো। এসে দেখি ভ্যান নেই। নোমানের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল আলিম বলেন, সকালে গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে মাঠে যাই। ছেলে ভ্যান নিয়ে ভাড়ার জন্য চলে যায়। এখন শুনছি উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানটি ছেলের কাছ থেকে কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এখন আমি কীভাবে সংসার চালাবো? ভ্যানটিই ছিলো একমাত্র উপার্জনের সম্বল। স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাদ আলী মল্লিক জানান, বৃদ্ধ আব্দুল আলিম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। সকালে তার ছেলের কাছ থেকে কৌশলে দুজন ব্যক্তি ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।