নাবালিকা নাতনি অপহরণের অভিযোগ তুলে দামুড়হুদা থানায় নানির মামলায় অভিযুক্ত গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার: অপ্রাপ্ত বয়সের নাতনি অপহরণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি জিহাদকে দামুড়হুদা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে মামলার ভিকটিম তথা অপ্রাপ্ত বয়সী নাতনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম উদ্ধার অভিযানের সময় নাবালিকা অপহরণ মামলার আসামির মাকে পুলিশ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাকে বিয়ে করে দীর্ঘ ৮ মাসের অধিক সময় ধরে সংসার করে আসছি, তাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা করে সুখের সংসারে আগুন জ্বেলেছে নানি। অথচ গত বছরের ৪ জুলাই ঢাকার আদাবরে এক কাজি অফিসে যখন বিয়ে হয় তখন মেয়ের মা উপস্থিত থেকে বিয়ে দেন। তাহলে অপহরণ হলো কীভাবে?
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে জিহাদকে আসামি করে নাবালিকা নাতনিকে অপহরণ করার অভিযোগ তুলে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন নাবালিকার নানি। নানি বাড়িতে থেকেই বড় হয়ে ওঠে ওই নাবালিকা। অপহরণ মামলার ভিকটিম আনুমানিক ১৪ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সাথে থানায় যেতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ঘরে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা চলায়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে। এ সময় মামলার ভিকটিম তথা অপহৃতা ঘরে ঢুকে স্বামী বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবো না বলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। অপরদিকে মামলার আসামি জিহাদকে বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করে। জিহাদের পিতা অভিযোগ তুলে বলেছেন, ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সংসার করছিলো। নানির মামলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। পুলিশ আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে। পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে বলেছে, মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ সময় নারী কনস্টেবলের সাথে ধাক্কা হয় মামলার আসামির মায়ের। লাঞ্ছিত করা হয়নি।