স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন দুজন ইজিবাইক চালক। এরমধ্যে এক বৃদ্ধ চালককে অজ্ঞান করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়েছে। আবার সেই বৃদ্ধকে মাইক্রোবাসে তুলে একটি মাঠে ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের দুজনকেই অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া ব্যক্তিরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫) ও জীবননগর উপজেলার মৃত ওমর আলীর ছেলে আনসার আলী (৬০)। তিনি সদরের ভালাইপুর গ্রামের মাদরাসাপাড়ায় সপরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তার ইজিবাইকটি নিয়ে গেছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল সকালে বৃদ্ধ আনসার আলী তার নতুন ইজিবাইক নিয়ে বের হয়। দুপুর ২টার দিকে আলুকদিয়ার ঝোড়াঘাটা গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে একটি মাইক্রোবাস থেকে বৃদ্ধ আনসার আলীকে ফেলে দিতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা বিষয়টি আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ইউপি সদস্য তুশারেফ হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অজ্ঞান অবস্থায় বৃদ্ধ আনসার আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ইউপি সদস্য তুশারেফ হোসেন বলেন, অজ্ঞান করে নতুন ইজিবাইকটি নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অচেতন অবস্থায় মাইক্রোবাসে করে ঝোড়াঘাটা গ্রামের মাঠের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমি ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। অপরদিকে, চালক নাসির উদ্দিন সকালে বাড়ি থেকে তার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া মারতে বের হন। শহরের টাউন ফুটবল মাঠ সংলগ্ন মা ও শিশু নিরাময় কেন্দ্রে এক যাত্রীকে নিয়ে আসেন। সেই যাত্রী তাকে শরবত খেতে দেয়। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে নাসির তার ইজিবাইকটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। জাফরপুর মোড়ে পৌঁছালে অসুস্থ হয়ে পড়লে মোবাইলে তার পরিবারকে জানায়। পরে দ্রুত তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে ইজিবাইকসহ নাসিরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। নাসিরের পরিবারের সদস্যরা জানায়, অল্পের জন্যে আজ ইজিবাইক হারাতে হতো। শরবত খাওয়ালে সে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি চলে আসে। আসার পথেই অসুস্থ হলে আমাদের জানালে আমরা তাকে ইজিবাইকের মধ্যেই গুরুতর অবস্থায় দেখতে পাই। সে অচেতন হলেই আশেপাশে ওৎ পেতে থাকা চক্রটি ইজিবাইক নিয়ে চলে যেতো বলে ধারণা করেন তারা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, দুজনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা এখনি বলা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, অজ্ঞান করে ইজিবাইক নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে বৃদ্ধকে ফেলে দেয়ার ঘটনা জেনেছি। অপর আরও এক ইজিবাইক চালক খপ্পরে পড়েছে। থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। চক্রটি ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।