স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩)’র অগ্রগতি ও অর্জন অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক-ডিডিএলজি সাজিয়া আফরীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এলজিএসপির জেলা ফ্যাসিলেটর মো. আজাদুল ইসলাম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে এলজিএসপির কার্যক্রম তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) শেখ মো. রাসেলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু ও শাহ আলম সনি বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল, প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি আলমগীর হান্নান, সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালাটি জেলা প্রশাসন আয়োজন করে এবং বেসরকারি সংস্থা পায়াকট বাংলাদেশের প্রতিনিধি এসকে জাফর কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাস্তবায়ন করেন। সহযোগিতায় ছিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
কর্মশালায় জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে এলজিএসপি ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে ২০২১-২০২২ সাল পর্যন্ত ৫৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ ছিলো। এর মধ্যে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামীতে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে এলজিএসপি প্রকল্প কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সাজাতে সচেতনতা ও পরিকল্পনা থাকতে হবে। এলজিএসপি শেষ হলেও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন প্রকল্প চালু হবে। সেবা দেয়াটাই মূখ্য। ইউনিয়ন পরিষদগুলো সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে। শুরু থেকে জেলায় ৫৬ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদগুলো ১০-১২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে। ফলে ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের মাটি নরম। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়াশ রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মনিটরিং সিস্টেম খুব ভালো। ইউনিয়নে দৃশ্যমান কি কি হলো তার তালিকা থাকা দরকার। সিটিজেন চার্টার মেইনটেন করা। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। জন্মনিবন্ধন বিষয়ে সচেতন করতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠন করতে পারবো। যে প্রকল্প আসবে তা যেনো ভালো করতে পারি এবং টেকসই হয়।