হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়ায় নাতী ছেলে উপর অভিমান করে মধ্যবয়সী এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ৩জুলাই শনিবার দুপুরে নাতি ছেলে উপর অভিমান করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। গ্রাম ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন বিশ^াসের স্ত্রী শহিদা বেগম(৬০) গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় নাতি ছেলে মাসুদ রানা নিকট থাকে। মরহুমা শহিদা বেগম প্রতিবেশীদের যাতায়াতের রাস্তা দেওয়া ও টিউবওয়েলের পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। এই কথা নাতি ছেলে মাসুদ রানা দাদিকে বকা যখা দেয় এবং বলে আমরা যদি রাস্তা ও পানি খেতে না দিই তাহলে প্রতিবেশীরা সবাই আমাদের খারাপ বলবে তুমি আর প্রতিবেশীদের সাথে খারাপ আচরণ করবে না। তখন শহিদা বেগম তার নাতি মাসুদ রানাকে বলেন প্রতিবেশীরাই তোর আপন আমি তোর কেউ না থাক। তুই প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে থাক, আমি চলে গেলাম । এরপর নাতি ছেলে মাঠে চলে যায় শ্রমিকের খাবার দেওয়ার জন্য বাড়ি এসে দাদিকে খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পায় দাদি ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এসময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দাদির লাশ উদ্ধার করে। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হওয়ার পর হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ মীর মেজবাহুর দারাইন লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে কোন অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দিয়ে আসে। শহীদা বেগমের তিন ছেলে সবাই আলাদা থাকেন। তিনি মানুষের বাসায় বুয়ার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাত ৯টায় গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।