আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ এলাকা এখন জমজমাট মাদকের হাট। ওই এলাকায় বর্তমানে ২৫/৩০ টি ডেরায় মাদক বেচাকেনা চলছে। অনেক ডেরায় কোন প্রকার লুকোছাপা ছাড়াই মাদক বিক্রি চলছে ওপেন সিক্রেট। মাদকাসক্ত স্কুল-কলেজগামী কিশোর যুবকদের মাদকসেবনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। এলাকাসূত্রে জানা যায়, ছোট পুটিমারী গ্রামের সদু খন্দকারের ছেলে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শামিম, অঘোর নাথের নেকবার আলীর ছেলে শাহাবুল, জালাল উদ্দীন কুটোর ছেলে সজল, মঞ্জুর ছেলে টফি, মারজেত আলীর ছেলে আব্বাস, নবড় পুটিমারী গ্রামের মানিক, একই গ্রামের ডিশ আক্তারুল, গড়চাপড়ার কামাল, নাগদাহ গ্রামের জিনারুলের ছেলে আতিয়ার, রোয়াকুলি গ্রামের মালেক আলীর ছেলে বরখাস্ত বিডিআর সদস্য ফেনসিডিল ব্যবসায়ী মাহমুদ বিডিআর, গড়চাপড়া গ্রামের শুকুর ফকিরের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী সুজন, গড়গড়ি গ্রামের ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী আরিফ, একই গ্রামের ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী সোহাগ, গড়গড়ি গ্রামের সজলের ছেলে ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী রায়হান, দক্ষিন গবিন্দপুর ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী জামাল, বড়পুটিমারি গ্রামের ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী হৃদয়, একই গ্রামের ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী বিশু, অঘোরনাথ ওয়াপদাপাড়ার ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী সারজেত, একই গ্রামের কুটোর স্ত্রী ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী রংপতি, জেহালা গ্রামের আলীহিমের ছেলে ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী রাজিব, একই গ্রামের ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী লিটন, মিজানুর রহমানের ছেলে ট্যাপেন্টাডল ব্যবসায়ী লাল, মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের মৃত কৃষ্ণপদর ছেলে বাংলা মদ ও স্প্রিট ব্যবসায়ী হরিপদ, সৌরবের স্ত্রী আরতি, হরিদাসের স্ত্রী আদরি দাস, সুসিল দাসের ছেলে অসিম দাস, মাথব দাসের স্ত্রী পূর্নী দাস, মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের এরা সবাই বাংলা মদ ও স্প্রিট বিক্রয় করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনেকটা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা জানান, ওই এলাকার বিভিন্ন মাচায় বসে আড্ডা দেয়ার সময় প্রকাশ্যে মাদকসেবীরা গাঁজাসহ নানা ধরণের নেশাদ্রব্য সেবন করছে। বয়স্ক ব্যক্তিদের পাশে বসেই তরুণ প্রজন্ম এসব নেশা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অঘোরনাথ গ্রামের এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, কালে ভাদ্রে মাদকসেবী কেউ কেউ আটক হন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারও কারও শাস্তিও হয়। কিন্তু মাদক বিক্রেতারা সাধারণত থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কখনও কেউ গ্রেফতার হলে কয়েক দিনেই হাজতমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। পূর্বের চেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নগদ টাকার গরমে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। মুন্সিগঞ্জ বাজারের চার দোকানে বসে মাদক ব্যবসা ও সেবন নিয়ে কথা হচ্ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের প্রতি। ফাঁড়ি পুলিশ স্থানীয় মাদকব্যবসায়ীদের সাথে সমঝোতা করে চলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।