আলমডাঙ্গা ব্যুরো/হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি ও ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট নির্মাণ কাজের রড চুরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদীর ঝন্টু ও সুইট নামের দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গী থানা পুলিশ। পরে সুইটকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার পুলিশ পুরিদর্শক (তদন্ত) মনোজিত কুমার জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ চলমান। ঢাকা থেকে ট্রাকে প্রতিদিন অনেক রড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্মাণাধীন বিমানবন্দরে। কিছুদিন পূর্বে কৌশলে এক ট্রাক ড্রাইভার কারখানা থেকে রড নিয়ে গেলেও সৈয়দপুর যাননি। অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন। মাঝে মধ্যেই তিনি এই অপকর্ম করতেন। পথের মাঝে তিনি ট্রাকের নাম্বারপ্লেট পরিবর্তন করতেন। এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে অপকর্মের তথ্য। এই অপকর্মের প্রধান হোতা জয়পুরহাটের ড্রাইভারকে আটক করতে না পারলেও গাড়ির হেলপারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে হেলপার জানান, ১২ মেট্রিক টন রড চুয়াডাঙ্গা জেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামে বিক্রি করেছেন। যাদের কাছে বিক্রি করেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করতে হেলপারকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা আসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সলঙ্গা থানার এস আই ব্রজেশ্বর বর্মন। তিনি রড কেলেঙ্কারি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভোগাইল বগাদী হাটে অভিযান চালান। আটক করে সাথে নিয়ে যাওয়া হেলপারের চিনিয়ে দেয়া মনোহারী দোকান মালিক ঝন্টু ও একই গ্রামের সুইটকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় তাদের হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে আটককৃতদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রজেশ্বর বর্মন সুইটকে আটকের কথা অস্বীকার করলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই তাকে আটকের খবর নিশ্চিত করে। এ সম্পর্কে তথ্য দিতে অনীহা দেখিয়েছেন এস আই ব্রজেশ্বর বর্মণ।