স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নে পথসভা করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য জিয়া পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইউনয়নের প্রতি গ্রাম ও মহল্লায় তিনি পথসভা করেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, চাঁদাবাজি থেকে ফিরে আসুন। বিএনপি কোনো চাঁদাবাজের দল না, বিএনপি ভদ্রলোকের দল। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে চাঁদাবাজি ও দখরদারিত্বসহ সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তারেক রহমান দখলদারিত্ব করার নির্দেশ দেননি। মিলি বিশ্বাস আরও বলেন, কান টানলে মাথা আসবে। দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজি থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকার অনুরোধ করছি। চাঁদাবাজী দখলদারিত্ব থেকে আপনার ফিরে আসুন। এই দখলদারিত্ব আপনাদের কাজ না, আমরা দখলদারিত্ব করতে পারি না। বিএনপির পতাকার তলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষক দল নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তার দোসররা কিন্তু এখনও বাংলাদেশে অবস্থান করছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রতিনিয়তই ভারতে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। সেই অপচেষ্টা যদি সফল হয়, তাহলে কিন্তু ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হবে। গত পনেরটি বছর এই বাংলাদেশ ছিলো একটি বৃহত্তর কারাগার। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে আমরা সেই কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে গড়তে চেয়েছিলেন, সকলের পেটে ভাত থাকবে, সকলের মুখে হাসি থাকবে, সকলে মৌলিক অধিকার ভোগ করবে, সেই আদর্শে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো। এই দেশকে আমরা সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবো। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরঙ্গজেব বেল্টু, বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মুকুল বিশ্বাস, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, পৌর যুবদল সদস্য আব্দুল মালেক, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রদল নেতা হাফেজ আব্দুল কাদির সোহান, আলমডাঙ্গার বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন, কামরুজ্জামান বকুল, আসাদুল হক, আমজাদ হোসেন, সাত্তার আলী, ঝন্টু মিয়া, কনক, আজিজ আহমেদ, আরিফ হোসেন, জজ, হাসিবুল হক, ইয়াকুব আলী, রেন্টু, মাসুম, জিন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আলমগীর হোসেন, রেজাউল ইসলাম, আশরাফুল, আশা মল্লিক মতিউর রহমান সর্দার ও আত্তাব আলী, শরিফুল ইসলাম, কালু, রানা, লিখন, মালেক, আবু, সালাম পারভেজ, সুমন, শিপন ওয়াসিম লাল্টু, রতন, ইসরাফিল, সুমন, হারুন, খায়রুল, নাসির, সাদ্দাম, সাত্তার, জহুরুল, সোহেল, রবিউল, বাদল, ফিরু প্রমুখ।