ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় ১৪৪ ধারা ভেঙে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে পানের হাট। হাটের কোনো বৈধ ইজারাদার না থাকায় এ হাটের টাকা ঢুকে যাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তির পকেটে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন কোনোভাবেই অবৈধ হাট চলতে দেয়া হবে না। অপরপক্ষ বলেছে আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই হাট চালাচ্ছি। বর্তমানে ওই হাট নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে। যে কোনো সময় যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি তহবাজারে ১নং খাস খতিয়ানে ৫২৭৩ দাগে সরকারের ৪৮ শতক জমি রয়েছে। ওই জমিতে কতিপয় ব্যক্তি ও কিছু পানব্যবসায়ী ২০১৯ সালে পানের হাট বসায়। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাতে থাকে। এ অবস্থায় স্থানীয় জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুল ইসলাম আদালতের শরণাপন্ন হন। গত ২০ এপ্রিল আদালত পানের হাটে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পিটিশন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পানহাট স্থগিত রাখার আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার পানহাট বসিয়ে ইজারা তুলছেন কতিপয় ব্যক্তি। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যারা পানহাট চালাচ্ছে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো সহযোগিতা করছে। এই হাট অবৈধভাবে চলতে দেয়া যায় না। এমন চলতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পাপরে।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইজরাদার রতন শাহ বলেন ‘আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী হাট চালাচ্ছি। এখানে পানব্যাবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে।’ আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন ‘আদালতের আদেশে পানহাট বন্ধের জন্য বলা হয়নি। যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন ‘আমি লিখিত আকারে কিছু পাইনি। শুনেছি আদালত ১৪৪ ধারা দিয়েছেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’