মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা জেহালার কৃষ্ণপুর গ্রামে হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানউজ্জামান হান্নানকে উদ্দেশ্য করে এ হামলা বলে এক পক্ষের অভিযোগ। অন্য পক্ষ বলেছে আমাদের ফাঁসানোর জন্য এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানউজ্জামান হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে বাড়ির সামনের বাঁশ বাগানের নিচে মাচায় বসে ছিলাম। সাথে দলের ৪-৫ জন নেতাকর্মীও ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের আকবরের ছেলে খলিলের নেতৃত্বে একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মিলন, বাবলুর ছেলে মিজান, আনুর ছেলে রিপন, রাহাজদ্দির ছেলে লেলিন, হোসেনের ছেলে শরিফ, বোদের ছেলে মঞ্জুর, হোসেনের ছেলে মারিফুল ও জয়নালের ছেলে মস্ত লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মেগবার ম-লের ছেলে মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীসহ গনির ছেলে তরিকুল, রবিউলের ছেলে কালাম ও সজিবসহ আনছার আলী মাস্টারের ছেলে শুভকে কুপিয়ে জখম করে। যদিও আমার ওপরেই এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল।’ ঘটনার পর অন্যরা পালিয়ে গেলেও মিলন নামে এক যুবককে ধরে অন্যপক্ষের লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই সঞ্জিত কুমার, এসআই খসরু আলমসহ মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের টুআইসি এএসআই আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মারপিটের শিকার মিলনকে উদ্ধার করে গতরাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে রক্তাক্ত জখম আনছার আলী মাস্টারসহ এ পক্ষের আহত সবাই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফেরেন। এ ব্যাপারে হামলায় অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। বরং হাসানউজ্জামান হান্নানসহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়ির গেটে এসে গালাগালি করে এবং গেটে লাথি মেরে ভাঙার চেষ্টা চালায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলন জানান, ‘আমার ওপরেই তারা হামলা করে আমার বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ করছে। এটা আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র মাত্র।’