স্টাফ রিপোর্টার: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। যখন আপনাদের অধীনে নির্বাচন হবে না তখন আপনাদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন দেয়ার জন্য কোনো লোক খুঁজে পাবেন না। কারণ আপনাদের নেতারা যারা নির্বাচন করবে তারা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে তারা দুবাইয়ে বাড়ি করেছে তারা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে, তারা পালিয়ে যাবে থাকবে জনগণ। ফলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাবে না আওয়ামী লীগ। বক্তারা আরও বলেন, এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে এ সরকারকে আর সুযোগ না দিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে আবার বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। বক্তারা বলেন, এ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলতে চাই এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। আর আপনারা যে এক্সিট খুঁজে পাচ্ছেন না, এক্সিটের রাস্তা তো আমরা বলে দিচ্ছি। এক্সিটের জন্য আপনি আপনার সমস্ত অপকর্ম আপনি ক্ষমা চান বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। বেগম খালেদা জিয়া যদি আপনাকে মুক্ত করে দেন তাহলে আপনি মুক্ত হয়ে গেলেন।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় শহরতলীর সাহিত্য পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূইয়া। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, মহিলা দলের সভানেত্রী রউফ উর নাহার রিনা, জেলা বিএনপির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় নেতা হাবিবুর রহমান বুলেট, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, জীবননগর পৌর বিএনপির সমন্বয় নেতা মো. শাহাজাহান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাড. অহিদুল আলম মানি খন্দকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবীব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহজাহান খান, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম নজু, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হোসেন তোহা, মহিলা দলের নেত্রী সালমা জাহান পারুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরনবী ছামদানী প্রমুখ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত চাল, ডাল, তেল, বিদ্যুৎ, কৃষি উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০ দফা দাবি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ আলমগীর খান ছাতু, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ।