হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১০ দিন ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলো ভাংবাড়িয়া গ্রামের শিশুপুত্র নাঈম। গতকাল দুপুর ১ টায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু নাঈম (২) মারা গেছে ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাহি রাজিউন)।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের কাওসার আলীর শিশু পুত্র নাঈম (২) ও ঠান্ডু আলীর মেয়ে নদী খাতুন (১২) গত ১৮ আগস্ট ঘরের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে গুরুতর আহত। পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের দু’জনকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেই থেকে বন্ধবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছিলো। গতকাল ২৯ আগস্ট দুজনের মধ্যে শিশু নাঈম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নাঈমের মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি ভাংবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যার সময় রওনা হয়েছে। নাঈমের মৃত্যুর সংবাদে বাবা মায়ের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।