জাকেরপার্টি প্রার্থীর দাবি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে গোলাপফুল মার্কা পাস করতো
স্টাফ রিপোর্টার: কারচুপির অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের তিন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন করেছেন। ভোট বর্জনকারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন মোনাজাত হোসেন (গোলাপ ফুল), রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) ও সজীব মাহমুদ (হাতপাখা)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) ও সজীব মাহমুদ (হাতপাখা)। আর নির্বাচনী এলাকায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোনাজাত হোসেন (গোলাপ ফুল)। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সোহরাব হোসেনসহ ওই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সজীব মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, আমার নিকট আত্মীয়সহ আমার স্ত্রীর হাত থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে প্রশাসনের সহায়তায় আমার স্ত্রীর ব্যালট পেপার ফিরে পেলেও আমার নেতা-কর্মী এবং নিকট জনদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি।
মহাজোটের শরিক বাংলাদেশ জাকেরপার্টির প্রাথী মোনাজাত আলী বলেন, নৌকা প্রার্থীর লোকজন আধিপত্য বিস্তার করছে। তারা জুড়ানপুর ইউনিয়নে কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা নৌকায় সিল মারছে। তাই আমি ভোট বর্জন করছি। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে গোলাপ ফুল মার্কা ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করতো। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানায়, আমরা ভোট বর্জন করলাম না, তবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হলে দেশে গণতন্ত্রের ধারা ব্যহত হবে।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী সহরাব হোসেন বলেন, ভোট বর্জনের মতো কোন পরিবেশ এ ইউনিয়নে তৈরী হয়নি। প্রশাসেনর সবোর্চ্চ নজরদারী ও সাধারন মানুষের স্বর্তস্ফুর্ত অংশ গ্রহনে ভোট সুষ্ট ও নিরপেক্ষ হয়েছে। জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তিন প্রার্থী আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।