আজ ২৮ রমজান। মহিমান্বিত মাহে রমজানের নাজাতের দশকও চলে যাচ্ছে। এখন আমাদের হিসাব মেলানো দরকার এবং অতীত গোনাহের জন্য মাফ চাওয়া উচিত। মহিমান্বিত এই মাস যে বার্তা আমাদের কাছে পেশ করেছিল তার কতটুকু আমাদের জিন্দেগীতে প্রতিফলিত হলো? রোজার সমস্ত আহকাম কি আমরা ঠিকমত আদায় করতে পেরেছি? সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর দেরী না করে এখনই আমাদের ভুলত্রুটির জন্য মহান আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে মাফ চাওয়া উচিৎ। আমরা জানি না এই রমজান আবার জীবনে পাবো কি না। জানি না মহান রব্বুল আলামীন আমাদের রোজা, তারাবি, দান-সদকা কবুল করেছেন কিনা। পরীক্ষার খাতায় ভুল করে উল্টা-পাল্টা লিখলে, তা আর শুধরানোর কোন ওপায় থাকে থাকে না। কিন্তু সমস্ত আমল উল্টা-পাল্টা করেও আমরা যদি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ভুল স্বীকার করে মাফ চাই তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ইনশাআল্লাহ মাফ করে দিবেন। কারণ তিনি তো কারও কাছে জবাবদিহি করবেন না। কেউ তাকে বলার নেই যে, কেন অমক ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হলো। রোজার শেষ দিনগুলোকে সুযোগ মনে করে মহান আল্লাহর কাছে তওবা, এস্তেগফার করা চাই। এখন আমাদের উচিৎ বেশি বেশি তওবা, এস্তেগফার এবং কাঁন্নাকাটি করে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাওয়া। তাছাড়া হাদিসে এসেছে, রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বিপুল সংখ্যক কয়েদীকে নাজাত দেয়া হয়। এক হাদিসের অংশ বিশেষে প্রিয় নবী কারিম (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে ইফতারের সময় এমন দশ লাখ লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করেন যাদের ওপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। এরপর যখন রমজানের দেশ দিন আসে তখন পয়লা রমজান থেকে শেষ পর্যন্ত যতো লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয়েছে তার সমসংখ্যক লোককে একদিনে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয় (তারগীব: বায়হাকি)। তাই আসুন, আমরা নিজ পাপের জন্য অনুশোচনা করি, ভবিষ্যতে পাপ না করার ওয়াদা করি এবং আল্লাহর কাছে সবার জন্য নাজাত চাই। (লেখক: মৎস্য বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)