ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে মফিজ উদ্দীন (৩৫) নামে এক সাজাপাপ্ত আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলখানার টয়েলেটে গ্রিলের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মফিজ উদ্দীন শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। জেলার রফিকুল ইসলাম জানান, স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় মফিজের। ২১ জানুয়ারি আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলখানার একটি টয়লেটে যায়। অনেক সময় পার হলেও বের না হওয়ায় অন্য আসামিরা কারারক্ষীদের খবর দেয়। পরে কারারক্ষীরা টয়লেটে প্রবেশ করে তাকে গ্রিলে সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে। এ সময় দ্রুত তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে পাঠিয়েছে কারা কর্তপক্ষ। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আক্তার মারুফকে ফোন করা হলে তিনি কোনো কথা না বলেই কেটে দেন। পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মিথিলা ইসলামকে ফোন দিলে ব্যস্ত আছি বলে জানান।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, এটা হাসপাতালের বিষয়। আমার জানা নেই। তবে শুনেছি ঝিনাইদহ কারাগারের এক আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর বেশি কিছু আমি জানি না। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কথা না বলে ফোন কেটে দিয়ে ঠিক করিনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।