আনোয়ার হোসেন: চুয়াডাঙ্গায় এবার পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার ১ হাজার ৩০৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের মূল্য প্রতিমণ ২ হাজার টাকা হলে পাটচাষিদের মুখে হাসি ফুটবে। আগামীতে পাটচাষিরা আগ্রহী হবেন। আর গতবারের মতো এবারও যদি পাটের দাম দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৭শ’র মধ্যে থাকে তাহলে আগ্রহ হারাবেন অনেকে। চুয়াডাঙ্গায় পাটচাষিদের অনেকেই এরকমই অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, মাঝে কিছুদিন পাটের আবাদ এলাকায় একেবারেই কমে গিয়েছিলো। বছরান্তে অল্প অল্প করে পাটের আবাদ বাড়লেও আশাতীত লাভ না হওয়ায় তাতেও ভাটা পড়ছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে পাটকাঠির দাম ভালো পাওয়ায় কিছুটা ক্ষতিপুষিয়ে নেয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আলী হোসেন বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় এবার মোট ১৬ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলানায় এবার ১ হাজার ৩০৫ হেক্টর বেশি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৮১০, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫ হাজার ৮৩০, জীবননগর উপজেলায় ১ হাজার ৬৩০ ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। মাঠে পাট নকনক করছে। তা দেখেই এবার পাটের ফলন ভালো হবে বলেই পাটচাষিদের আশা। চুয়াডাঙ্গার পাটচাষিদের মধ্যে সাইদুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, আশাদুল হক, শমসের আলীসহ অনেকের সাথেই পাটের আবাদ নিয়ে কথা হয়। কৃষকদের প্রায় সকলেই অভিন্ন ভাষায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, পাটচাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে পাট পাওয়া যায় ১৩ থেকে ১৪ মণ। এ হিসেবে পাটের মণ যদি থাকে ২ হাজার টাকা তা হলে লাভ হয়। অন্যথায় পাটচাষে আগ্রহ থাকে না। দেখা যাক, এবার বাজার কেমন পাওয়া যায়। শ্রাবণে পাট উঠতে শুরু করবে। জানি না তখন পাটের বাজার কেমন থাকবে।