হারপিক খেয়ে হাসপাতালে ভর্তিরপর পালিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাপ এক গৃহবধুর

আত্মহত্যার জন্য হারপিক খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গৃহবধূ মনিরা খাতুন অন্তরা। সেখান থেকে পালাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অবশেষে মারা গেলেন তিনি। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কুমারখালী স্টেশন মাস্টার আব্দুল ওয়াদুদ দাবি কলেন, রাজবাড়ীগামী একটি মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তরা আত্মহত্যা করেন। অন্তরা উপজেলার সদকী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিদ্দিক মণ্ডলের মেয়ে এবং একই উপজেলার বাটিকামারা তরুন মোড়ের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে জনি আহমেদের স্ত্রী। তবে বাবা সিদ্দিক মণ্ডলের দাবি, মাদকাসক্ত স্বামী জনির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়ে। গত ২৮ জুন সে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। ওই সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করেছিলাম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে পালিয়ে গিয়ে কুমারখালী স্টেশনের কাছাকাছি মালগাড়ির নিচে ঝাঁপ দেয়।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন দাবি কলেন, যেহেতু আত্মহত্যার উদ্দেশে হারপিক খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখান থেকে আবারও পালিয়ে গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা নিশ্চিত করেছে। সে কারণে আমরা বলছি মেয়েটির পূর্ব থেকেই আত্মহত্যার ঝোঁক ছিল।

Comments (0)
Add Comment