মাগুরায় আজিজুরকে হত্যার পর ৬ খণ্ড করার ঘটনার মূল ঘাতক হোমিও ডাক্তার আশরাফ আলিকে মঙ্গলবার বিকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে মাগুরা সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোরের শার্শা থেকে তাকে সোমবার খুলনা র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল আটক করে। সন্ধ্যায় মাগুরার ঘোড়ানাছ গ্রামে একটি কালভার্টের নিচ থেকে আজিজুরের পা ও আরেকটু দূর থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৬ জুন কালিকান্দি গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে দুটি বস্তায় তার মাথাহীন শরীর এবং একটি পা ও দুটি হাত উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার পরদিন ৬ জুন আজিজুরের ভাই হাবিবুর রহমান মহম্মদপুর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন। আসামি আটকের পর মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাগুরা সিআইডির ইন্সপেক্টর নিকুঞ্জ কুমার কুন্ডুকে। তিনি জানান, নিজের চেম্বারে হত্যার পর লাশ ৬ খণ্ড করেন আশরাফ। তারপর খণ্ডগুলো বিভিন্ন এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফ র্যাবকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ান কোম্পানির তিনটি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিলে তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ আজিজুর। তিনি তা করলে ৫ জুন আজিজুর হোমিও চেম্বারে এসে মাত্র পাঁচশ টাকা ধরিয়ে দেন। এতে আশরাফ রেগে গিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন তাকে।