স্ত্রী শিপা বেগম স্বজনদের ফোন করে তার স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। তার স্বামী ডায়াবেটিসে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন। স্ত্রীর কথা বিশ্বাস করেন স্বজনরাও। এর পর আইনজীবী আনোয়ারের লাশ দাফন করা হয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় শিপা এক যুবককে বিয়ে করেন। এ খবরে নড়েচড়ে বসে আনোয়ারের পরিবার; মামলাও করে শিপাকে আসামি করে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে হত্যার শিকার আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার শিবের বাজারের দীঘিরপাড়ে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পরে আনোয়ারের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে অ্যাডভোকেট আনোয়ারের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পুনরায় কবর দেওয়া হবে। জানা যায়, নিহত আনোয়ার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন নগরীর তালতলায়। ৩০ এপ্রিল বিকালে তার স্ত্রী শিপা বেগম স্বজনদের ফোন করে তার স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। শিপা তখন তার স্বামী ডায়াবেটিসে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন। শিপার কথা বিশ্বাস করেন স্বজনরাও। আনোয়ারের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। এর পর কিছু দিন যেতে না যেতেই শিপার বিয়ের খবরে নড়েচড়ে বসে আনোয়ারের পরিবার। স্বামীর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় তিনি সিলেট জেলা ত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শিপা জানান, তাদের দুজনের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই বিয়ে করেছেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাবির বিয়ে নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজখবর নেন আনোয়ারের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে তিনি মামলা করেন। গ্রেফতার করা হয় শিপা বেগমকে। পরে তিনি স্বামীকে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেন বলে আদালতে কারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।