স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক মাথাভাঙ্গার স্টাফ রিপোর্টার আফজালুল হককে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের মালিক আরফিনা খাতুন। গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করে দেখে নেয়ার হুমকি দেন তিনি। এর আগে গতকাল চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গার শেষ পাতায় ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার আড়ালে টেস্ট বাণিজ্য, ডা. আব্দুর রহমানকে দেখাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার রোগী : নীরব কর্তৃপক্ষ’ এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপরই গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের মালিক চটে যান। গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের মালিক আরফিনা সাংবাদিক আফজালুল হককে মোবাইলে কল করে জানতে চান, গ্রীন লাইফের মেডিকেল সেন্টারের (প্রতিষ্ঠানের ব্যান্যার) ছবি পত্রিকায় প্রকাশ করার কোনো রাইট আছে কিনা। উত্তরে এই প্রতিবেদক বলেন, রাইট আছে কিনা জানতে পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, আমি বড় বড় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার বাপ চাচারা বড় বড় পোস্টে আছে। আমার অনুমতি ছাড়া ছবি প্রকাশ করার রাইট নেই। আপনি বাদে অন্য সাংবাদিক হলে এক প্রকার ধু….. ছেড়ে দিতাম। এর আগে আমি এক সাংবাদিককে ধু….. দিয়েছি আমার গ্রীন লাইফে বসে। সে কি করেছে আমার? আপনি নিউজ করে কি বা…… ছিড়ে নিতে পারেন নিয়েন। আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউজ করা এতো বড় ক্ষমতা কিভাবে হয়েছে তা না দেখে শুনবো না। এ বিষয়ে সাংবাদিক আফজালুল হক জেলার সাংবাদিক নেতাদের অবগত করেন এবং আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মদনা গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী ঘাড়ের সমস্যাজনিত কারণে সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমানকে দেখাতে আসেন। হাসপাতালে থাকা গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত হিমেল নামে এক যুবককে ডা. আব্দুর রহমানের কক্ষ কোনটা জিজ্ঞাসা করলে তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরের কক্ষ দেখিয়ে দেন।