শ্যালিকাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার নাম করে মাইক্রোবাসে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে দুলাভাই মশিউর রহমান। শুধু তাই নয়, এ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে মশিউর। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটির পিতার মামলায় মশিউরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করছে বলে মেয়ের পিতা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসেন। ১১ এপ্রিল মশিউর শ্যালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ইজিবাইকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৈয়াসিটিবুনিয়ায় নামে। সেখান থেকে মাইক্রোবাসযোগে কাটাবুনিয়া নামক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে মশিউর। অপরদিকে গত ১৮ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করে; যা পুকুরে ফেলে দিয়ে ডুবে মরেছে বলে প্রচার করে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ৭ বছর আগে উপজেলার কালুয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম সরদারের ছেলে মশিউর রহমানের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বড়বোনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের সংসারে ৪ বছরের একটা ছেলে আছে। সংসারে তাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ লেগে থাকতো বলে মেয়েটির পিতা জানান। ১৮ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে মশিউর তার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে যায়। রফিকুল যায় বাথরুমে ও তার স্ত্রী ওজু করতে নামে পুকুরে। কিছুক্ষণ পরে রফিকুল বাইরে এসে দেখে তার স্ত্রী পুকুরে ভাসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলছেন, দুলাভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় বড়বোনকে হত্যা করেছে। এদিকে এ ঘটনার পর স্বামী বুধবার তালাক পাঠিয়েছে বলে ভিকটিম জানায়।
পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোল্যা খালিদ হোসেন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।