বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরির্দশন করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি বিদ্যালয়ের শৃংখলা, পরিবেশ, পাঠদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যালয়টির ভূয়সী প্রসংসা করেন তিনি। এসময় তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থটা কিছুটা ব্যাহত হলেও সে পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় স্বাভাবিক হতে চলেছে সবকিছু। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষা অধিদপ্তর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আলোকিত জনগোষ্ঠী গড়তে বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক দশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও করেছে মজবুত ও টেকসই, দেশকে বিশ্বের বুকে দিয়েছে পৃথক পরিচিতি। একসময় বিপুলসংখ্যক কোমলমতি শিশু স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ পেতো না। অনেকে আবার স্কুলে গেলেও প্রাথমিক পর্যায় থেকে ঝরে পড়তো। স্কুলে যথাসময়ে পাঠ্যবই পেতো না শিশু-কিশোররা। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অসংখ্য তরুণীকে বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে নির্মম জীবন বেছে নিতে হতো। গত কয়েক বছরে বদলে গেছে শিক্ষাক্ষেত্র, পাল্টে গেছে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। বর্তমান সরকারের সাফল্যের তালিকায় শীর্ষে নিঃসন্দেহে শিক্ষা। বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে বর্তমান সরকার। শিক্ষার আলোয় এখন আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। শিক্ষা অফিসারের সফরসঙ্গী ছিলেন প্রধান অফিস সহায়ক মিকাইল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, সফিকুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী, সাজেদুর রহমান, আজিজুল হক, শাহিন আক্তার, আব্দুল কুদ্দুস, আবুল হোসেন, মাসুদ রানা, শেফালি পারভীন, শাহানাজ পারভীন, বিপুল হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মিতা বিশ্বাস, নাহিদ পারভেজ, মুক্তা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।