লবনাক্ত ও মোহনার মাছ হিসেবে পরিচিত গলদা চিংড়ির চাষ হচ্ছে এখন ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি, কলমনখালী ও বয়ড়াতলা গ্রামে পরীক্ষামুলক ভাবে গলদা চিংড়ির চাষ করে সফলতা পেয়েছে মৎস্য বিভাগ। ঝিনাইদহ সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার পরাগ জানান, গলদা চিংড়ি মুলত মোহনার মাছ হিসেবে পরিচিত। তবে এই মাছ লবনাক্ত ও মিষ্টি উভয় পানিতে চাষ হয়। সেই হিসেবে ঝিনাইদহে পরীক্ষামুলক ভাবে চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে। মৎ্য বিভাগের উদ্যোগে তিনটি প্রদর্শনী খামারে চাষকৃত এই মাছের বয়স এখন দুই মাস। দুই মাসে ৪০টিতে এক কেজি হচ্ছে। চার মাসে মাছগুলো বিক্রির উপযোগী হবে বলে তিনি জানান। সরেজমিন দেখা গেছে, বয়ড়াতলা গ্রামের মনিরুজ্জামান রাজন ১৫ শতক জলাশয়ে গলদা চিংড়ির প্রদর্শনী খামার করেছেন। মাছগুলোর বয়স এখন দুই মাস। পুকুরের পানিতে সহজেই মাছগুলো বড় হচ্ছে। কোন প্রতিকুলতা নেই। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মৎস্য অফিস গলদা চাষে সহায়তা করছে বলে খামারিরা জানান। এছাড়া কলমনখালী গ্রামের মানিক ও বেড়বাড়ি গ্রামের হাসান মৎস্য বিভাগের প্রদর্শনী খামারে গলদার চাষ করছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের আশপাশ জেলার কোথাও গলদার চাষ নেই। ঝিনাইদহে এই প্রথম গলদার চাষ হচ্ছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার পরাগ জানান, গলদা চাষে ঝিনাইদহে প্রচুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এক সময় ঝিনাইদহের খামারিরা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গলদার চাষে মনযোগী হবেন। তিনি জানান, বিল বাওড় থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রজাতির মাছের চাষ করা হচ্ছে ঝিনাইদহে। ভবিষ্যাতে গবেষনার মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছগুলো চাষের চেষ্টা করছে মৎস্য বিভাগ।