মেহেরপুর অফিস : ভালো বীজ হলেই যে ভালো ফসল উৎপাদন হবে এমনটি নয়। ভালো ফসল ও ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য মাটির স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে। তবেই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা হবে অপরদিকে মানসম্মত ও সাস্থ্য সম্মত ফসল এবং বীজ পাওয়া যাবে। তাই বীজ উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্তদের জৈব সার ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিলেন কৃষিবীদরা। মান সম্মত বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও বীজ আইন বিষয়ে গতকাল রোববার সকালে মেহেরপুর বীজ প্রত্যায়ন অফিস প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণে তারা এ আহবান জানান।সরকারের বীজ প্রত্যয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার পরেশ কুমার রায়। সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার রঞ্জন কুমার প্রামাণিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক একেএম কামরুজ্জামান। বীজ আইন ও মেহেরপুর জেলার বীজ উৎপাদন চিত্র তুলে ধরেন বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ। প্রশিক্ষণে জেলার বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের নানা কলা কৌশল তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এখন শুধুমাত্র খোরপোসের কৃষির মধ্যে আমাদের কৃষি সীমাবদ্ধ নেই। বাণিজ্যিক কৃষিতে অনেক এগিয়ে গেছে দেশ। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব তাই নানাভাবে কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সরকারও চাচ্ছে যে জৈব স্বাস্থ্য সম্মত ফসল উৎপাদন হোক। প্রাণী ও পরিবেশে রাসায়নিক সার অতিরিক্ত প্রয়োগের বিরুপ প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, জমিতে যা প্রয়োগ করা হচ্ছে তা ঘুরেফিরে যাচ্ছে মানুষের শরীরে। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। প্রাণ ও পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প নেই। অপরদিকে আইন মেনে মানসম্মত বীজ উৎপাদন, সরংক্ষণ ও বিপণনের বিষয়ে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার আহবান জানান তাঁরা।