বাগেরহাটের চিতলমারীতে বৌদির সাথে স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে এক নববধূ গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নববধূর স্বামী ও তার বৌদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালত এ দুজনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অশোক নগর গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের ছেলে সুশেন মণ্ডল (২৫) মাস খানেক পূর্বে বাগেরহাট সদর উপজেলার শাহসপুর গ্রামের সাথী মণ্ডলের (১৯) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাথী বুঝতে পারে তার স্বামী সুশেন মণ্ডল পার্শ্ববর্তী রানা পাড়া গ্রামের মেসতুতো ভাই শ্যামল মণ্ডলের স্ত্রী কনিকা মণ্ডলের (৩৫) পরকীয়া প্রেমে জড়িত। প্রায় প্রতিদিনই সুশেনের সাথে বৌদি কনিকা মণ্ডল দেখা করতে এসে বিভিন্ন অজুহাতে সাথীকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সাথী তার স্বামীকে নিষেধ করায় প্রায়ই তিনি নির্যাতনের শিকার হতেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে কনিকা মণ্ডল সুশেনের সঙ্গে দেখা করতে আসলে অভিমানে সাথী ঘরের ফ্রেমের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাঁটু ভেঙে থাকা অবস্থায় সাথীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সাথীর স্বামী সুশেন মণ্ডল ও তার বৌদি কনিকা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত দুজনকেই জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।