চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রফেসর ডা. মেহেদীর আরও একটি সাফল্য
স্টাফ রিপোর্টার: ৮ বছরেরও অধিক সময় ধরে স্বাভাবিক চলাফেরায় অক্ষম সেই বিপ্লব এখন সুন্দরভাবে হাটতে পারে। মাত্র ১০ বছর বয়সে যে বিপ্লবের ডানপায়ের উরু সম্পূর্ণ অসাঢ় হয়ে যায়, সেই বিপ্লবকে সুস্থ করতে না পারার কষ্টে টানা ৮ বছরেরও অধিক সময় পার করতে হয়েছে পিতা মাতাকে। অবশেষে চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রখ্যাত অর্থপেডিক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর গবেষণামূলক চিকিৎসায় সুস্থতা পেয়েছে বিপ্লব। স্বস্তি ফিরেছে পিতা মাতামহ পুরো পরিবারে।
বিপ্লব চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আশাদুল ইসলাম ও বিলকিস খাতুনের পুত্র সন্তান। বর্তমানে বিপ্লবের বয়স ১৮ বছর। জানা গেছে, বিপ্লব অনেকটা অসুস্থতা নিয়েই ভূমিষ্ঠ হয়। ১০ বছর বয়সে এসে বিপ্লবের ডান পায়ের উরু থেকে অবাস হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চলাচলের ক্ষমতা হারায়। পিতা মাতা তাকে সুস্থ করতে দূর দরান্তে ছোটেন। কখনো কবিরাজ, কখনো নামি দামি চিকিৎসা কেন্দ্রে। দীর্ঘ দিন ধরে ছুটতে ছুটতে হয়রান হওয়ার এক পর্যায়ে ছেলের সুস্থতার আশা অনেকটা ছেড়েই দিতে থাকেন। অবশেষে চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট নেয়া হয় তাকে। পরীক্ষা নিরীক্ষার এক পর্যায়ে চিকিৎসক জানান জটিল অস্ত্রোপোচার করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিপ্লবের পিতা মাতা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যা. মাহবুব হোসেন মেহেদির ওপর ভরসা রাখেন। ঢাকায় নিজস্ব হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে অীধকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে টানা ৮ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করেন। সুস্থতা পায় বিপ্লব। পিতা মাতাসহ পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে প্রফেসর ডা, মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ সুবানুতায়লার। আমি অীছলামাত্র। এর আগেও অনেক জটিল রোগী আমার অছিলায় সুস্থ হয়েছে। সকলের দোয়ায় আরও অনেক অনেক কাজ করতে চাই। বিপ্লবসহ অনেকের সুস্থ করতে পারার সাফল্য আমার পিতা মরহুম মোরাদ হোসেন ও মাতা মরহুমা হাজেরা মোরাদকে উৎসর্গ করছি।