মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে পৌঁছানোর একদিন পর তহমিনাকে তার পরিবারের লোকজন এসে নিয়ে গেছে নিজ জেলা নরসিংদী জেলায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে উভয় পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা শেষে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তাহমিনাকে তার পরিবারের লোকজন বাড়ি নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনে দেড় বৎসর যাবৎ প্রেমের সূত্র ধরে গত রোববার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গত রোববার বিকেলের দিকে প্রেমিকা তহমিনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে তার প্রেমিক সুমনের বাড়ি পৌঁছে। এ ঘটনায় প্রেমিক সুমনসহ প্রেমিকের পিতা-মাতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রেমিকা তাহমিনা খাতুনকে পরে সুমনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে দেয়।
খবর পেয়ে পরদিন তাহমিনা খাতুনের পরিবার থেকে তার চাচাতো ভাইসহ তিনজন আশরাফপুর গ্রামে পৌঁছান। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে আমদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয়রা দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিমাংসার জন্য বসেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিষয়টি কোনো মীমাংসার না হওয়ায় তাহমিনার পরিবার থেকে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তহমিনাকে নিয়ে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
জানা যায়, সুমন প্রায় দেড় বছর পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নরসিংদী জেলার শ্রীনগর উপজেলার পঞ্চগড় গ্রামের হাফেজ মিজানুর রহমানের মেয়ে এক সন্তানের জননী তাহমিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ দেড় বছরের মধ্যে তারা অসংখ্যবার মোবাইলে কথাবার্তা বলেছেন।
তাহমিনা জানান, কয়েকদিন পূর্বে সুমন তাকে ফোন করে তার বাড়িতে আসতে বলে। সে মোতাবেক তাহমিনা খাতুন রোববার বিকেলের দিকে নরসিংদী থেকে মেহেরপুরের আশরাফপুর গ্রামে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এদিকে তহমিনাকে আসতে দেখে সুমন, তার পিতা-মাতা বাড়ি থেকে আত্মগোপন করে। সন্ধ্যার দিকে আশরাফপুর গ্রামে সুমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তহমিনা।
প্রায় ৫ বছর আগে প্রথমবার বিয়ে হওয়ার পর তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার ঘরে রয়েছে ৪ বছর বয়সী এক সন্তান। তাহমিনা আরো জানান, প্রায় দেড় বছর থেকে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সুমনের কথামতো তার বাড়িতে চলে আসে সে। এদিকে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থানের খবর পেয়ে সাহেবপুর ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।