কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জেরে বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে বন্যা খাতুনের মায়ের বাড়ীর একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বন্যা খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়ীয়া গ্রামের আনারুল হকের মেয়ে। তিনি একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আব্দুল আলিমের স্ত্রী।
নিহতের ফুফু রশেনা খাতুন জানান, কিছুদিন পূর্বে বন্যা খাতুনের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন কুপিয়ে পা কেটে দেয় বন্যার মামার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। বন্যার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বন্যাকে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন আহত মামাদের দেখতে নিষেধ করে। কিন্তু গতকাল বন্যা তার মামাকে দেখতে যান। এ নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন তাকে গালিগালাজ ও মানসিকভাবে নির্যাতন করলে তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে তার মায়ের বাড়ী চলে আসে।
রোববার দুপুরে বন্যার শাশুড়ি শেফালি খাতুন ও নানী শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন বন্যার মায়ের বাড়ীতে আসে। কিছুক্ষণ পরে ঝুলন্ত অবস্থায় বন্যাকে রেখে তারা চলে যায়। এরপর লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
মিরপুর থানার ওসি গোলাম মস্তফা জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বন্যা খাতুনের মরদেহটি উদ্ধার করে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সঠিকভাবে জানা যাবে।