স্টাফ রিপোটার: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজাকে মারপিট করে জখম করেছে দুবৃত্তরা। টাকা ও স্বর্ণের আঙটি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। গতকাল সোমবার দুপুরে মারপিটে জখম মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ২জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের রানা শাহ্ ঠাকুরপুর গ্রামের তেলার ছেলে রানার নিকট পাওনা ৫০হাজার টাকা চইতে যায় কার্পাসডাঙ্গা কাস্টমস মোড়ে। এ সময় রানা শাহ্’র সাথে বাকবিত-ায় জরিয়ে পড়েন ঠাকুরপুর গ্রামের তেলার ছেলে রানা (৩০)। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে রানা শাহ্’র ভাইপো ধান্যঘরা গ্রামের হারুণ শাহ্’র ছেলে মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান তার চাচা (রানা শাহ্) কে মারপিট করছে রানা ও কাদের। রানার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে রানা শাহ্’র মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। এসময় মাথা সরিয়ে নিয়ে রডটি বাম হাত দিয়ে ধরতে গেলে গুরুতর আঘাত পাই রানা শাহ্। চাচাকে আঘাত করার প্রতিবাদ করতে গেলে ভাইপো মোখলেছুর রহমানকে পেছন থেকে জাপটে ধরে কার্পাসডাঙ্গার আ. হাইয়ের ছেলে আব্দুল কাদের এবং ওই সময় লোহার রড দিয়ে মোখলেছুরের মাথায় আঘাত করে রানা। লোহার রডের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোখলেছুর রহমান। স্থানীয়রা ছুটে আসলে রানা ও কাদের পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত রানা শাহ্ ও মোখলেছুর রহমানকে উদ্ধার করে দ্রুত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উভয়কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় মোখলেছুর রহমানের মাথায় ৪টি সেলায় দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। পরে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় রানা ও আব্দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করে মোখলেছুর রহমান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মারপিটের সময় মোখলেছুরের কাছে থাকা নগদ ২৩ হাজার ৫শ’ টাকা ও একটি স্বর্ণের আঙটি ছিনিয়ে নেয় তারা। দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।