স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় দুই পাড়ে দুই থানা চালু হচ্ছে। চারতলা দুটি নতুন নির্মিত থানা ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে ২১ জুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানা দুটি উদ্বোধন করবেন। দুটি থানায় মূলত সেতুর নিরাপত্তা এবং এর সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষের আইনি সহায়তার জন্য কাজ করবে। সেতুর পাশাপাশি দুই পাড়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এ দুই থানা। প্রতিটি থানায় একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৪০ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকবে। ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকে সেতু দিয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল করবে। সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে থানা দুটির পাশাপাশি সেতু এলাকায় থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এর আগে এ দুই থানায় জনগণের পদ সৃষ্টি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অত্যাধুনিক এ থানা ভবন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু ঘিরে বদলে যাচ্ছে পুরো এলাকার চেহারা। সেতুর নিরাপত্তায় তাই চালু হচ্ছে দুটি পূর্ণাঙ্গ থানা। এরই মধ্যে থানা দুটিতে পর্যাপ্ত জনবল পদায়ন করা হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাত্র চারদিন আগে থানার উদ্বোধন কেন্দ্র করে বিশেষ আমেজ বিরাজ করছে মাওয়া উত্তর থানা এলাকায়। সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা দক্ষিণ থানার আওতায় থাকবে পূর্ব নাওডোবা ও পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়ন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা উত্তর থানার আওতায় থাকবে মেদিনীম-ল ও কুমারভোগ ইউনিয়ন। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া পদ্মা উত্তর থানার ওসি আলমঙ্গীর হোসাইন জানান, ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি পদ্মা উত্তর থানার উদ্বোধনের পরই আমরা আমাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করব। এ সেতুর উদ্বোধনের পর এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় কোনো যাত্রী সমস্যার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইনি সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া হবে। পদ্মা নদীর উভয় প্রান্তে এ এলাকায় বলতে গেলে একসময় প্রায় জনশূন্য ছিলো। কিন্তু এখন পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা পালটে গেছে। নতুন নতুন জনবসতি তৈরি হচ্ছে। হাটবাজার হাট বসেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদিনীম-লের পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার অদূরে এ থানা ভবন দেখে খুশি এলাকার মানুষ। মেদিনীম-ল এলাকার শেখ জামান বলেন, আমাদের এলাকায় এমন থানা ভবন দেখে আমরা খুশি। কারণ এখানে এখন মানুষজন বেড়েছে।