হাসাদাহ প্রতিনিধি: প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার পরেও দ্বিতীয় বিয়ে। এরপর প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়ানো জন্য নির্যাতন অভিযোগ উঠেছে কাউছারের বিরুদ্ধে। শিশু দুই সন্তান নিয়ে বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় মনিরা আক্তার পিয়া (২২)। সে গাজীপুর তালতলার গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তারের মেয়ে।
অভিযোগ করে বলেন, রায়পুর কালাদোয়া ঘাটপাড়ার মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে কাউছারের সাথে ৬ বছর আগে আমার বিয়ে হয়। আমাদের সংসার জীবনে দুটি ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। গত চার মাস আগে মোবাইলে মাধ্যমে একই উপজেলার সাড়াবাড়িয়া গ্রামের মইদুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মনিরা খাতুনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমাকে না জানিয়ে সে মনিরা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে বলে জানায়। এ বিষয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকতো। আমি বাড়িতে থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী মনিরা খাতুনকে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার ওপরে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও শাশুড়ি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার লোভে শাশুড়ি আমাকে বাড়ি থেকে বের করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আমার স্বামী গত ৭ ফেরুয়ারি নির্যাতন করে আমাকে আমার পিত্রালয় গাজীপুর তালতলা বাজারে ফেলে পালিয়ে চলে আসে। পরে আমার বাড়িতে খবর দিলে আমাকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে আমি বাড়িতে এলে আমাকে আবার নির্যাতন করা হয়। এখন আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে বাড়িতে জায়গা নেই বলে বের করে দিয়েছে। এখন আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। প্রতিবেশীদের বাড়িতে গেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালজ করা হচ্ছে। এখন আমার দুটি শিশু বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবো। দেশের আইনের মাধ্যমে আমি সঠিক বিচার চাই।