দামুড়হুদা অফিস: এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে দুই ফসল (ধান) উৎপাদনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধ এই জমি চাষের আওতায় আনতে প্রয়োজন প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেনের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলিসহ অনেকে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জলাবদ্ধ বিলসহ ড্রেন নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের পেছন থেকে উজিরপুর পর্যন্ত সোলগাড়ি ও দোবিল এলাকায় প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। বিলের কিনারায় সামান্য পরিমাণ জমিতে একটি ধান ফসলের চাষ হলে ও প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি থাকে জলাবদ্ধ। দুই কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করে মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে প্রায় ২হাজার বিঘা জমিতে দুটি ফসল (ধান) উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ বিষয় নিয়ে গত প্রায় ৭মাস আগে উপজেলা সদরের ওই বিলের জমির মালিক দীন মোহাম্মদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামানের সাথে উক্ত জমিগুলো চাষের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই সময় দৈনিক মাথাভাঙ্গায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়। এরপর চলতি বছরের ২৭মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ও কৃষক দীন মোহাম্মদ প্রশাসক বরাবর উক্ত জমি গুলো চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে দেখার জন্য বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ওই বিল ও ড্রেন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলিকে কৃষকদের নিয়ে বসে সকলের মতামতের ভিত্তিত্বে একটি নকশা তৈরি করার জন্য বলেন। নকশা তৈরির পর পরবর্তী করনীয় বিষয় গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলি, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান আলি খাঁন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা সিআইজির সভাপতি দামুড়হুদা সদর ইউপির সদস্য সামসুল ইসলাম, চাষাবাদ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মশিউর রহমান, উপ সহকারী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ, কৃষক নজরুল ইসলাম, রাজ্জাক আলি, মুনছুর আলি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা কিভাবে মহাসড়ক পেরিয়ে কিভাবে মাথাভাঙ্গা নদী পর্যন্ত ড্রেন করা যায় সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে ঘুরে দেখেন।