দামুড়হুদা অফিস: চলতি মরসুমে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুকে পড়ায় এই আশাক্সক্ষা দেখা দিয়েছে। এই আবাদে উদ্বদ্ধ করতে সার, বীজ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হলেও উৎসাহী হচ্ছে না কৃষকগণ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোর মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় এবার নয় হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে আট হাজার হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে এক হাজার ১৩০ জমিতে কম হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদন হবে ৪৪হাজার মেট্রিক টন। ঠান্ডা জনিত কারণে বীজ তলায় অনেক চারা নষ্ট হওয়ায় চারা সংকটে পড়ার আশক্সক্ষা ও দেখা দিয়েছে। উপজেলা পারদামুড়হুদা সদরের আব্দুর রহমান বলেন, তিনি দেড় বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাবেন। কিন্তু প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে তার বীজতলায় চারা লাল মহে মারা যাচ্ছে। এভাবে চারা নষ্ট হতে থাকলে চারা সঙ্কট হয়ে দাম বেড়ে যাবে। কিভাবে ধান লাগানো হবে ভেবে পাচ্ছি না। পারদামুড়হুদা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ বলেন, সে ২বিঘা জমিতে সরিষা কেটে রোরো ধান রোপন করবেন। চারা কিনে ধান রোপন করবেন এমন চিন্তা করে চারা দেয়া হয়নি। মনে হচ্ছে এবার চারার দাম বেশি হবে। চারা কিনে চার করতে হলে খরচ অনেক বেশি হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। ঠান্ডা একটু কমলে পুরোদমে শুরু হবে। ব্যপক হারে ভুট্টার আবাদ হওয়ায় বোরো ধানের চাষ লক্ষ মাত্রার চেয়ে কিছু কম হবে। তিনি বীজতলার বিষয়ে বলেন, আগাম বীজতলার চারা বড় হয়ে যাওয়ায় তেমন একটা ক্ষতি হবে না। দেরিতে দেয়া চারার কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সামান্য কিছু বীজতলার চারা ঠান্ডায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে দেরিতে চারা দেয়া কৃষকদের তাদের বীজতলা উপরে পলেথিনের ছাউনি দিয়ে ঢেকে রাখা ও প্রতিদিন সকালে বীজতলার চারার উপর দিয়ে লাঠি টেনে দিয়ে কুয়াসা ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে চারা নষ্ট হবেনা।