মিরাজুল ইসলাম মিরাজ: দামুড়হুদার জয়রামপুর কুঠিরপাড়ার গ্রামীণ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মাঝে বসানো হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কাঠের তৈরি পোল। গ্রামীণ রাস্তার মাঝে পল্লী বিদ্যুতের পোল বসানোর ফলে গ্রামবাসীকে প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। সেই সাথে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর পূর্বে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুঠিরপাড়ার গ্রামীণ রাস্তার মাঝে বসানো হয় পল্লী বিদ্যুতের কাঠের তৈরি একটি পোল। আর সেই থেকেই শুরু হয় ওই মহল্লাবাসীর ভোগান্তি। বিভিন্ন সময়ে গ্রামবাসী পল্লী বিদ্যুতের পোলটি অপসারণ করার কথা বললেও তা এখনো অবদি অপসারণ করা হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। মহল্লাবাসীর পক্ষে করম আলী, আলী হোসেন, রোজিনা খাতুন, সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গ্রামের মাঝখানের রাস্তায় বিদ্যুতের পোলটি থাকায় সর্বত্র পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। গ্রামের কৃষকদের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে বর্ষা মরসুমে পানিতে পোলটি ভিজে যাওয়ার ফলে অনেক সময় জনগণের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এ গ্রামীণ জনপদের রাস্তার মাঝ থেকে পোলটি সরিয়ে নেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষসহ হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারংবার বলা হলেও তারা সমাধানের বিষয়ে নেননি কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। রাস্তার মাঝে পল্লী বিদ্যুতের পোলটি রেখেই রাস্তাটির সোলিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। ঠিক আগের মতোই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সেই ঝুঁকিপূর্ণ পোলটি। আগামী ভুট্টা মরসুমের আগেই পোলটি অপসারণের দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা।
দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, পোলটি অনেক আগে বসানো, তখন রাস্তার পাশে ছিলো। দিনদিন রাস্তা বাড়তে থাকার ফলে পোলটি রাস্তার মাঝে পড়ে গেছে। বিষয়টি আমি আবগত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্রামবাসীকে পোলটি অপসারণের জন্য লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে আমি ওই পোলের তার পরিবর্তনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত দিয়েছি।