মোস্তাফিজ কচি: শীতের মরসুম শেষ হতেই বাজারে আসতে শুরু করেছে সজনে ডাঁটা। অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে এ সবজিটি অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় আছে। এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজেও বেশ প্রয়োজনীয়। তবে বাজারে আসতেই সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। স্বাদের এই সজনে ডাঁটা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ঘুরে সজনে ডাঁটার এমন মূল্য দেখতে পাওয়া যায়। মরসুমে সজনে ডাঁটা ক্রেতারাও কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও দামের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পছন্দের এ খাবারটি থেকে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সজনে ডাঁটা পাইকারি প্রতি কেজি ৪৫০ দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা যখন এ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন তখন সেটি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন হওয়ায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে। সজনে ডাঁটার ক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সজনে ডাঁটা অনেক মজার একটি খাবার এবং এটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। গরমের সময় এই সবজিটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এই সবজির যে পরিমাণ দাম রাখা হচ্ছে, সেই পুরো টাকা দিয়েই বাজার করা হয়ে যাবে। দাম কিছুটা কম হলে মানুষ কিনতে পারতো খেতে পারতো। অপর ইকরামুল হক মধু বলেন, সজনে ডাঁটা দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই সজনে ডাঁটা খাওয়া উচ্চ রক্ত চাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তবে সজনে ডাঁটার কেজি ৫০০ টাকা শুনলে অনেকের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাবে। তাই আপাতত এই সবজির আশপাশ থেকে দূরে থাকাই ভালো। কার্পাসডাঙ্গা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রেজাউল হক বলেন, আরও কিছুদিন গেলে এবং বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সজনে ডাঁটা আসতে থাকলে এ দাম আর থাকবে না। তখন দাম কমে আসবে। ক্রেতারা সহজে কিনতে পারবেন। এদিকে সজনে ডাঁটার গুণাগুণ সম্পর্কে ডা. সহিদুল ইসলাম বলেন, সজনে ডাঁটায় রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এতে রয়েছে ফোলেট, ভিটামিন বি-৬, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, প্যানটোথেনিক এসিড এবং নিয়াসিন। এগুলো শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বি হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও প্রচুর ক্যালসিয়াম, লৌহ, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।