আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার বাদেমাজু গ্রামে প্রবাসির ৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রীকে নিয়ে পরোকিয়া প্রেমিক জিকু উদাও। এ ঘটনায় টপ অব দ্যা বাদেমাজু পরিনত ডাউকি ইউনিয়নে। প্রবাসীর ৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের ৩ দিন পরই প্রেমিক- প্রেমিকা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের আব্দুল গণি খলিফার মেয়ে তাসলিমা খাতুন ওরফে ইছমের প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয় মেহেরপুর জেলা শহরের এক প্রবাসীর ছেলের সাথে। বিয়ের কয়েক বছর পর তাসলিমার স্বামী বিদেশ চলে যায়। গত ৩ বছর তিনি প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে ২ মাস আগে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর শ^শুড় বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সহজেই জানতে পারেন শ্বশুরবাড়িতে রেখে যাওয়া স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ইছম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া। চাপাচাপির এক পর্যায়ে তাসলিমা খাতুন ইছম জানায় যে, বাদেমাজু গ্রামের স্কুলপাড়ার শহিদুল আলম হান্টুর ছেলে আশানুর ওরফে জিকুর সাথে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক। পরকীয়া সম্পর্কে হাবুডুবু খেয়ে গৃহবধু তাসলিমা খাতুন ইছম এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া। এ তথ্য জানার পর স্বামী তাসলিমা খাতুন ইছমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায়, অসহায় তাসলিমা খাতুন ইছমের বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। গত দুই দিন তাসলিমা খাতুন ইছম তাকে বিয়ে করে অনাগত সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে পরকীয়া প্রেমিক আশানুর ওরফে জিকুকে চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বাধ্য হয়ে অন্তসত্বা তাসলিমা খাতুন ইছম ২৯ এপ্রিল আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে প্রেমিক আশানুর ওরফে জিকুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দায়ের ৩ দিন পর জিকু তার প্রেমিকা প্রবাসির ৭ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমিয়েছে। ২ মে দিনগত রাতে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে। এ নিয়ে ডাউকি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামের মুখরোচক সংবাদে পরিনত হয়েছে।