ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে এক মুক্তিযোদ্ধার ইডেন কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর ও কুরুচীপুর্ণ বক্তব্য ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে কালিচরণপুর ইউনিয়নের উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রীস আলী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে পিতার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রঞ্জনা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীকে সমর্থন করায় এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের রোষানলে পড়েন। বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হলে বিরোধের জের ধরে তার লোকজন ও সমর্থকরা পরিবারটির উপর অকথ্য মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি জায়গা জমি নিয়ে আমার শ্যালকদের সাথে একই গ্রামের পাঞ্জু শাহ, ইউনুস ও সুরত আলীর সাথে বিরোধ বাধে। জমিজমা সংক্রান্তে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষ তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুল প্রায় আমার মেয়ে রঞ্জনাকে উত্ত্যক্ত ও আপত্তিজনক প্রস্তাব দিতে থাকে। প্রতকবাদ করায় গত ২২ জুলাই এলাকার তুহিন ও মনিরুলের হুকুমে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর শ্যালিকা শিখা খাতুন ও তার ছেলে মো. নয়নকে জখম করা হয়। ঘটনার দিন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা রঞ্জনা খাতুনের জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশিদা খাতুনকেও মারপিট করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে গত ১২ আগস্ট উত্তর কাষ্টসাগরা বাজারে একটি কথিত মানববন্ধনের নামে মুক্তিযোদ্ধার ইডেন কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে ব্যানার, প্লেগার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ইদ্রিস আলী একজন বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেও তাকে সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজী ও নামধারী মুক্তিযোদ্ধা বলে অবমানাকর বক্তব্য প্রচার করে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দুই যুবতী কন্যাকে পতিতা আখ্যা দিয়ে অপপ্রচার চালায়। আর এসব ঘটনার মূল হোতা পুলিশের উপর হামলাকারী কালিচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান মিজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বলে অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইডেন কলেজের ছাত্রী রঞ্জনা খাতুন জানান, আমার বিকাশ একাউন্টে ছাত্রলীগের তহবিল হতে লাখ লাখ টাকা আসে বলে কুরুচিপুর্ন ইঙ্গিত দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনও তার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ডেকে ছাত্রলীগের তহবিল হতে লাখ লাখ টাকা আসে বলে জানায়।