ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ছবি তুলে টাকা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের দারস্থ হয়েছেন ভিকটিম। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এসে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তার স্বামী সুর তরঙ্গ নামে একটি মাইক কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত ১৯ মার্চ রাতে তার স্বামী জেলা প্রশাসকের একটি অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর তিনি দুই সন্তান নিয়ে পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর আবাসন এলাকার নিজ বাড়িতে ছিলেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে রাতে ভাঙা জানালা দিয়ে ফকিরাবাদ গ্রামের আলাল উদ্দীনের ছেলে সলোক (১৯) ঘরে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে। জীবনের ভয়ে ভিকটিম এ কথা গোপন করে রাখে। ধর্ষক সলোক ধর্ষণের সময় ছবি তুলে রাখায় সেই ছবি দেখিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করতে থাকেন। নইলে নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। ভিকটিমের শ্বাশুড়ি বিদেশ থাকায় তিনি গৃহবধূর একাউন্টে টাকা পাঠান। এ খবর জানতে পেরে সলোক টাকার জন্য একের পর এক ফোন করতে থাকেন। সলোকের ব্লাক মেইলিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি তার স্বামী জানতে পেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের দারস্থ হন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পাগলাকানাই ইউনিয়নের মেম্বার আসাদুজ্জামান সুজন বলেন, ধর্ষক সলোক এখন পলাতক। এলাকায় তার নামে নানা অপরাধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শোনা যায়। তিনিও মানুষের কাছে ধর্ষণের খবর শুনেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, এমন কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ধর্ষিতার স্বামী জানান, তার স্ত্রী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন হেল্প ডেক্সে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।