ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলায় আমন ধানখেতে ব্যাপকভাবে মাজরা পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলা থেকে পোকার আক্রমণের খবর আসছে। পোকা দমনে কীটনাশক কিনতে দোকানগুলোতে চাষির ভিড় করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ধানের বাজার চাঙ্গা থাকায় চাষিরা আমন চাষে ঝুঁকেছেন। ইতিমধ্যেই ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। এখনো চাষি আমন চারা রোপণ করছেন। এতে কৃষি সম্প্রসাণ অধিদফতর আশা করছে রোপা আমন চাষ ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর পৌঁছবে।
চাষিরা জানান, রোপণের পর চারা সতেজ হয়ে উঠলেও মাজরা পোকা আক্রমণ করছে। মহেশপুর উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের চাষি এরশাদ আলি জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। ধানের অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু কয়েক দিন হলো মাজরা পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। তাদের এলাকায় অনেকের খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। শৈলকূপা উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের চাষি জহর আলি ম-ল জানান, এবার ২৫ কাঠা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। কয়েক দিন হলো মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। পোকা মারার ওষুধ কিনতে কীটনাশকের দোকানে এসেছেন। একই উপজেলার মধুপুর গ্রামের চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, তার ২২ কাঠা ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। হরিণাকু-ু উপজেলার শীতেলীপাড়া গ্রামের চাষি বেল্লাল হোসেন বলেন, তার চার বিঘা রোপা আমন খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। তাদের এলাকা জুড়ে আমন খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। তবে ক্ষতির পর্যায়ে যায়নি। পাঁচ ভাগের বেশি ধান গাছ আক্রান্ত হলে ক্ষতির পর্যায়ে যায়। চাষিদের পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমনের জন্য খেতের ভেতর পাখি বসার জন্য গাছের ডাল পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারেরও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।