জীবননগর ব্যুরো: উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত অন্য ডাকাত গ্রেফতার এড়াতে ক্ষণে ক্ষণে জায়গা বদল করছে। ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালালেও গতকাল পর্যন্ত আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অতি দ্রুত জড়িত অনান্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৭ জুন রাতে ৬-৭ জনের ডাকাত দল পাঁচিল টপকে মিনাজপুর গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে হামিদুজ্জামান টিটুর বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রূপার গয়না এবং ৫টি মোবাইল সেটসহ ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮শ’ টাকার মালামাল লুট করে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে এএসপি আবু রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তের মাত্র ৪ দিনের মাথায় ডাকাতির তথ্য উন্মোচিত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নতুন চর দৌলতখান গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে ডাকাত সর্দার খবির সরদারকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোয়ালহুদা গ্রামের শ^শুর হানিফ ড্রাইভারের বাড়ি গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট থেকে লুটকৃত টাকার মধ্য থেকে ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একই রাতের অভিযানে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের মৃত শেখ নজরুল ইসলামের ছেলে জনি শেখকে তার শ^শুরবাড়ি একই উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের বদর শেখের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করে। পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও ধূর্ত ডাকাত দলের সদস্যরা ক্ষণে ক্ষণে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করাতে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হচ্ছে না। ওসি সাইফুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মিনাজপুর গ্রামের ডাকাতির তথ্য উদঘাটন পুলিশের একটি বড় সাফল্য। তথ্য উদঘাটনের পর বৃহস্পতিবার ডাকাত সর্দারসহ দু’জনকে আটক করা সম্ভব হয়। পলাতক অন্যদের দ্রুত গ্রেফতারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।