স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ডিগ্রি কলেজে এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বিধি মোতাবেক আবেদন করেন। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই এনটিআরসিএ ফলাফল প্রকাশ করলে তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ডিগ্রি কলেজে প্রাথমিকভাবে সিলেকশন পান। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি ওই কলেজে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে শরিফুল ইসলাম ২৪ জানুয়ারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে তার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয় এবং বলা হয় যে, কমিটির রেজুলেশন করে নিয়োগপত্র গ্রহণের জন্য তাকে ফোন করা হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপন করে ৪ ফেব্রুয়ারি রেজুলেশন করে ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র প্রদান করে।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেতন প্রাপ্তির জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অধিকাংশ শিক্ষক ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে যোগদান করেছেন। কিন্তু জীবননগর ডিগ্রি কলেজ থেকে ১০ তারিখ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। ১১ তারিখ শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি দু’জন শিক্ষক যোগদান করেন। শিক্ষক শরিফুল ইসলাম গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগদান করতে গেলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে এবং আগের দেয়া নিয়োগপত্র বাতিল হয়েছে বলে নিয়োগপত্র ফেরত দিতে বলে। শিক্ষক শরিফুল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবারো যোগদান করতে গেলে অধ্যক্ষ আলী আখতার তাকে অফিস সহকারী নজরুল ইসলামকে কাগজপত্র দেখাতে বলেন। নজরুল তার শরিফুলের অভিজ্ঞতার সনদ, এমপিও কপি দেখার পরও বলেন ‘ভাই আপনার যোগদান হবে না, আমি এ বিষয়ে প্রিন্সিপালকে কিছু বলতে পারবো না, আপনার জন্য আমি বকাঝকা খেতে পারবো না।’
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ আখতার উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। জানা গেছে নীতিমালার দোহায় দিয়ে তিনি উক্ত শিক্ষকের নিকট থেকে বিধি বহির্ভূত কাগজপত্র চেয়েছেন। তবে, নীতিমালা সম্পর্কে তিনি এতটাই অজ্ঞ যে, ২০১৫ সালের শেষ দিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করলেও ২০১৬ সালে তিনি শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলী আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।