স্টাফ রিপোটার: জীবননগর উপজেলার ২নং আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক জীবননগর থানায় এ ডায়েরির আবেদন করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন থেকে সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিকের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে কল দেন। এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নামে সরকারি কিছু অনুদান ও বরাদ্দ এসেছে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন। তিনি সাড়া না দিলে ওই দিন ফের বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই ফোন নম্বর থেকে পুনরায় কল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দেয়ার তাগিদ দিয়ে গ্রাম পুলিশ বরকত আলীকে সাংবাকিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠান। তিনি সরল বিশ্বাসে তার হাতে ভোটার আইডিকার্ডের ফটোকপি প্রদান করেন। পরদিন তিনি জানতে পারেন সরকারি বিভিন্ন দান অনুদানের একই প্রলোভন দেখিয়ে ছোট ভাই বিন্দা ভৌমিক, বিজন ভৌমিক, মটুক ভৌমিক, জীবন ভৌমিক ও ভ্রাতৃ বধুমায়া রাণী ভৌমিক জংবিন্দা ভৌমিকের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়া হয়েছে। একই দিনে পরিবারের সকল সদস্যদের ভোটার আইডিকার্ড নেয়ায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক ফোন দিয়ে গণহারে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর তিনি ও তার ভাই বিন্দা ভৌমিক, বিজন ভৌমিক ও ভ্রাতৃ বধু মায়ারানী ভৌমিকের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি চাপ সৃষ্টি করার পর ফেরতো দেন। তবে সাংবাদিকের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে ওই দেয়া কপি থেকে কপি করে নেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশে নেয়া ফটোকপি উদ্ধারপূর্বক তিনি বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণা, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করে জীবননগর থানায় সাধারণ ডাইরি করেন সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক।